মঙ্গলবার ১১ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি ৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আরাফার দিন কুরবানীর দিন ও আইয়্যামে তাশরীকের আমল ও ফজীলত: 

 

ইসলামে সুখী ব্যক্তি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি তার জীবনের সর্বোচ্চ সময় আল্লাহ তাঁর রসুল সা. এর আনুগত্যের কাজে ব্যয় করেন এবং কুরআন সুন্নায় বর্ণিত বিশেষ বিশেষ ফজীলতের রাত ও দিনগুলির প্রতি আগ্রহী হন। কুরআন ও সুন্নায় বর্ণিত দিনগুলির মধ্যে রয়েছে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন, যার মধ্যে আরাফার দিন,কুরবানীর দিন ও আইয়্যামে তাশরীক । নীচে আমরা এই বরকতময় দিনের ফজিলত সংক্ষেপে বর্ণনা করা হবে, তারপর ব্যাখ্যা করা হবে যে কিভাবে মুসলমানরা এই দিনগুলির ফজিলত ও বরকত কিভাবে সর্বাধিক কাজে লাগাতে পারে।

প্রথমত:  আরাফার দিনের ফজিলত। এ দিন দ্বীনের পরিপূর্ণতা এবং মুসলমানদের উপর নিয়ামত পূর্ণ করা হয়। পবিত্র কুরআনে এ ব্যাপারে ঘোষণা এসেছে,
অর্থ: আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, আর তোমাদের উপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের জন্যে ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা আল মায়েদা: ৩)
এই আয়াতটি আরাফার দিন বিদায় হজ্জের সময় নবী সা. এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল।

হযরত উমর থেকে  বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে,
হাসান ইবনুস সাব্বাহ্ রহ. উমর ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণনা করেন, এক ইয়াহূদী তাঁকে বলল: হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনাদের কিতাবে একটি আয়াত আছে যা আপনারা পাঠ করে থাকেন, তা যদি আমাদের ইয়াহূদী জাতির উপর নাযিল হত, তবে অবশ্যই আমরা সে দিনকে ঈদ হিসেবে পালন করতাম। তিনি বললেন, কোন আয়াত? সে বলল:

الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا

“আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম।”

উমর রা. বললেন এটি যে দিন এবং যে স্থানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর নাযিল হয়েছিল তা আমরা জানি; তিনি সেদিন আরাফায় দাঁড়িয়েছিলেন এবং তা ছিল জুম’আর দিন।

*আরাফার দিন– হজযাত্রীদের ক্ষমা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির দিন।

হযরত আয়িশাহ্ রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: এমন কোন দিন নেই, যেদিন আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদেরকে আরাফার দিনের চেয়ে জাহান্নাম থেকে বেশি মুক্তি দিয়ে থাকেন। তিনি সেদিন বান্দাদের খুব নিকটবর্তী হন, তাদেরকে নিয়ে মালায়িকার (ফেরেশতাগণের) কাছে গর্ববোধ করে বলেন, এরা কি চায়? (অর্থাৎ- যা চায় আমি তাদেরকে তাই দেবো) (মুসলিম)

*হযরত জাবের আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত রাসূল সা. বলেছেন: আরাফার দিবসে আল্লাহ তা’আলা যমীনের নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন। অতঃপর ফেরেশতাদের সম্মুখে তাদের নিয়ে অহংকার করে বলেন: দেখ আমার বান্দাদেরকে; তারা ধূলায় ধুসরত বিক্ষিপ্ত বদনে প্রতিটি গিরিপথ দিয়ে নিজেদেরকে উৎসর্গ করে আমার নিকট আগমন করেছে। আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি অবশ্যই আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। ফেরেশতারা বলবে: হে রব! অমুক ব্যক্তি অত্যাচার করত। অমুক পুরুষ আর অমুক নারী। তিনি বলেন: আল্লাহ তা’আলা বলবেন: আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।(বায়হাকী, ইবনে খুজাইমা: জাঈফ)

’আয়িশাহ্ রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: এমন কোন দিন নেই, যেদিন আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদেরকে ’আরাফার দিনের চেয়ে জাহান্নাম থেকে বেশি মুক্তি দিয়ে থাকেন। তিনি সেদিন বান্দাদের খুব নিকটবর্তী হন, তাদেরকে নিয়ে মালায়িকার (ফেরেশতাগণের) কাছে গর্ববোধ করে বলেন, এরা কি চায়? (অর্থাৎ- যা চায় আমি তাদেরকে তাই দেবো)। (মুসলিম)

হযরত আনাছ রা. থেকে বর্ণিত রসূলুল্লাহ সা. আরাফার ময়দানে সূর্যাস্তের পূর্বে বেলালকে রা. নির্দেশ দিলেন মানুষদেরকে চুপ করাতে। বেলাল বললেন: আপনারা রাসূলুল্লাহ সা. এর জন্য নীরবতা অবলম্বন করুন। জনতা নীরব হল। রাসূলুল্লাহ  সা. বললেন, ‘হে লোকসকল! একটু পূর্বে জিবরাইল আমার কাছে এসেছেন। তিনি আমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আহলে আরাফা ও আহলে মুযদালেফার জন্য আমার কাছে সালাম পৌঁছিয়েছেন, ও তাদের অন্যায়ের জিম্মাদারি নিয়েছেন। ওমর দাঁড়িয়ে বললেন, ওগো আল্লাহর হাবীব এটা কি শুধুই আমাদের জন্য? তিনি বললেন, এটা তোমাদের জন্য ও তোমাদের পর কেয়ামত পর্যন্ত যারা আসবে তাদের জন্য। ওমর রা. বললেন, আল্লাহর অনুকম্পা অঢেল ও উত্তম।(শরহুস সুন্নাহ,আত-তারগীব ওয়াত তারহীব)

৯ তারিখ তথা আরাফার দিনের রোযার ফজিলত:

যিলহজ্বের প্রথম নয় দিনের মধ্যে নবম তারিখের রোযা সর্বাধিক ফযীলতপূর্ণ। সহীহ হাদীসে এই দিবসের রোযার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,

صيام يوم عرفة أحتسب على الله أن يكفر السنة التي بعده والسنة التي قبله

হযরত আবু কাতাদাহ রা. থেকে বর্ণিত রসূল সা. বলেছেন: আরাফার দিনের (নয় তারিখের) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে, তিনি এর দ্বারা বিগত এক বছর ও আগামী বছরের গুনাহ মিটিয়ে দিবেন। (সহীহ মুসলিম)

 

তবে এ রোজা হাজিদের জন্য নয়, বরং যারা হজ্জ করতে আসেনি তাদের জন্য। হাজিদের জন্য আরাফার দিবসে রোজা রাখা মাকরুহ। রাসূলুল্লাহ সা. বিদায় হজ্জের সময় আরাফা দিবসে রোজা রাখেননি। বরং সবার সম্মুখে তিনি দুধ পান করেছেন।(মুসলিম)

ইকরামা থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা রা. এর বাড়িতে প্রবেশ করে আরাফা দিবসে আরাফার ময়দানে থাকা অবস্থায় রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: রাসূলুল্লাহ সা.আরাফার ময়দানে আরাফা দিবসের রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।(মুসনাদে আহমদ)

আরাফার দিন শয়তানের জন্য সবচেয়ে কঠিন দিন:

ইমাম মালিক (রাঃ) আল-মুওয়াত্তায় তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহর মুরসাল থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আরাফার দিনের চেয়ে শয়তানকে আর কখনও ছোট, এত ঘৃণ্য, এত পরাজিত বা এত ক্রুদ্ধ দেখা যায়নি। এর কারণ হল, সে আল্লাহর রহমত এবং বড় বড় পাপের ক্ষমা অবতীর্ণ হতে দেখেছে, বদরের দিন যা দেখেছিল তা ছাড়া। বলা হলো: আর হে আল্লাহর রাসূল, বদরের দিন সে কী দেখেছিলো? তিনি বললেন: তিনি জিব্রাইলকে ফেরেশতাদের এভাবে আদেশ করতে দেখেছে।

কুরবানীর দিনের ফজিলত:

খলীলুল্লাহ পুত্র কুরবানীর অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। পিতা-পুত্রের এ কুরবানী আল্লাহর কাছে এতোটাই পছন্দ হয়েছে যে, তাঁর পিয়ারা হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মতের উপর ওয়াজিব করে দিলেন।

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল র. হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম রা. থেকে বর্ণনা করেন-

عن زيد بن أرقم رضى الله عنه قال قلنا : يا رسول الله ما هذه الأضاحى؟ قال : سنة أبيكم إبراهيم عليه السلام. قال قلنا : فما لنا فيها؟ قال : بكل شعرة حسنة  قال قلنا : يا رسول الله فالصوف قال : بكل شعرة من الصوف حسنة.

তিনি বলেন, সাহাবাগণ রাসূল সা.  কে জিজ্ঞেস করলেন, ওগো আল্লাহর নবী! কুরবানী কী? অর্থাৎ, কেন আমরা কুরবানী করি? তিনি বললেন:

-এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীম আ. এর সুন্নত ও স্মৃতি। তাঁরা পুণরায় জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহর রসূল সা. আমাদের এতে লাভ কি? রসূল সা. বললেন: কুরবানীর পশুর প্রত্যেক লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকী  রয়েছে। তাঁরা আবার জিজ্ঞাসাকরলেন: হে আল্লাহর রসূল সা.! দুম্বা ও ভেড়ার পশমের কি হবে?  (অর্থাৎ ভেড়ার

তো পশম বা  লোম অনেক তার লোমের পরিমাণও কি ছাওয়াব দেয়া হবে?) রসূল সা. বললেন: ভেড়ারও প্রতিটি লোমের (পরিবর্তে) এক একটি ছওয়াব রয়েছে।

হযরত ইবনে উমার থেকে বর্ণীত-

عن بن عمر قال أقام رسول الله صلى الله عليه وسلم بالمدينة عشر سنين يضحي

অর্থ: রসূল সা. দশ বছর মদীনায় অবস্থান করেন। প্রতি বছর তিনি কুরবানী করতেন।

হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণীত-

عن عائشة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما عمل آدمي من عمل يوم النحر أحب إلى الله من إهراق الدم إنها لتأتي يوم القيامة بقرونها وأشعارها وأظلافها وأن الدم ليقع من الله بمكان قبل أن يقع من الأرض فطيبوا بها نفسا

অর্থ: রসূল সা. বলেছেন, কুরবানীর দিনে বনী আদম এমন কোনো কাজ করতে পারে না, যা আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিক করা ( অর্থাৎ কুরবানী করা) অপেক্ষা অধিক প্রিয়। কুরবানীর সকলপশু তাদের শিং, পশম ও খূরসহ কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে। আর কুরবানীর পশুর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেইতা আল্লাহ দরবারে পৌছে যায় ( অর্থাৎ কবুল হয়ে যায়,সুতরাং তোমরা প্রফুল্লচিত্তে কুরবানী কর।

হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণীত-

عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من كان له سعة ولم يضح فلا يقربن مصلانا

অর্থ: রসূল সা.বলেছেন: -“যে ব্যক্তি কুরবানী করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে কাছে ও না আসে”।

কুরবানীর দিন ও তার পরের দিন সৃষ্ঠ দিন:

عن عبدالله بن قرط  إنَّ أفضلَ الأيَّامِ عندَ اللَّهِ يومُ النَّحرِ ثمَّ يومُ القَرِّ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন কুর্ত রা. থেকে বর্ণিত রসূল সা. বলেছেন: আল্লাহর নিকট দিবসসমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হল কুরবানির দিন, তারপর পরবর্তী তিনদিন। (সহীহ ইবনে হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ, আবু দাঊদ)

আইয়্যামে তাশরীকের ফজীলত:

عن نبيشة الهذلي أن رسول الله- صلى الله عليه وسلم- قال:  أيام التشريق أيام أكل وشرب وذكر الله.  رواه مسلم

নাবীশা হাজালী থেকে বর্ণিত যে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আইয়ামুত-তাশরীক হল খাওয়া-দাওয়া ও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের যিকিরের দিন। (মুসলিম)

ইমাম ইবনে রজব রহ. এ হাদিসের ব্যাখ্যায় চমৎকার কথা বলেছেন,তিনি বলেন: আইয়ামুত-তাশরীক এমন কতগুলো দিন যাতে ঈমানদারদের দেহের নেয়ামত ও স্বাচ্ছন্দ্য এবং মনের নেয়ামত তথা স্বাচ্ছন্দ্য একত্র করা হয়েছে। খাওয়া- দাওয়া হল দেহের খোরাক আর আল্লাহর জিকির ও শুকরিয়া হল হৃদয়ের খোরাক। আর এভাবেই নেয়ামতের পূর্ণতা লাভ করল এ দিনসমূহে।

عن عقبة بن عامر رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “يوم عرفة ويوم النحر وأيام التشريق عيدنا أهل الإسلام، وهي أيام أكل وشرب

‘সাহাবি উকবাহ ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আরাফাহ দিবস, কুরবানির দিন ও মিনার দিনসমূহ (কুরবানি পরবর্তী তিন দিন) আমাদের ইসলাম অনুসারীদের ঈদের দিন।

(তিরমিজী, মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ)

কুরবানীর দিন ও আইয়্যামে তাশরীকের আরও কিছু আমল:

১.জবেহ বা কুরবানী করা যা সাধারণতো ১০,১১ ও ১২ তারিখে হয়ে থাকে।  জবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ ও তাকবীর বলা।

২. কুরবানীর দিন ও পরের তিন দিন রোযা রাখা হারাম।

৩. কুরবানীর দিন ও পরের তিন দিন মহান আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি যিয়াফত থাকে  তাই এই কয় দিন রোযা রাখাও হারাম। মুসনাদে আহমদ ও মুসলিম শরীফের হাদীসে রসূল সা. এদিনগুলিতে এ জন্যই রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। কারণ আল্লাহর দেয়া পবিত্র এই খাবারে যেমন রয়েছে রূহের খোরাক তেমনই রয়েছে দেহের খোরাক। কুরবানীর বরকতময় গোস্তে রয়েছে সারা বছরের ইবাদতের শক্তি তেমনই রয়েছে মানসিক শক্তি বৃদ্ধির উপকরণ ও মেধা বিকাশের নানা রকম আয়োজন। আর এ সবই নির্ভর করে বান্দার নিয়তের উপর। তাই কুরবানীর গোস্ত নিয়তের সাথে খাওয়া চাই।

৪. কুরবানীর পরের দিন কোথাও না গিয়ে নিজ গৃহে অবস্থান করা হলো সুন্নাত।

৫.আইয়্যামে তাশরীকে উচ্চ আওয়াজে জিকির করা। কারণ জিকির সাধারণত দু‘ধরণের হয়ে থাকে:

প্রথম: সব জিকিরই রূহ ও আত্মার খোরাক যোগায় তাই সব সময় আল্লাহর জিকির করতে হয়।

দ্বিতীয়: জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর বরত্ম, মহত্ম,ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ ঘটানো। আর এ ধরণের জিকির সাধারণতো উচ্চ আওয়াজেই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় প্রকারের জিকিরি দ্বারা উদেশ্য হচ্ছে তাওহীদের প্রচার ও বিকাশ ঘটানো। অল্প কয় দিনেরেএই জিকিরে এতো বেশী শক্তি রয়েছে যে, এর দ্বারা প্রত্যেক মুমিন তাওহীদের বলে বলিয়ান হয় এবং তাওহীদের মর্মকথা মুমিনের দিল গেথে যায়। তাই আইয়্যামে তাশরীকে উচ্চ আওয়াজে জিকির করতে বলা হয়েছে।

৫. গান বাজনা থেকে দুরে থাকা।

হে আল্লাহ! আমাদের আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।